Friday, January 26, 2007
সিভিল সোসাইটি নিয়া টানাটানির কারণ
সিভিল সোসাইটি নিয়া এতো গুতাগুতির কারণ হইতেছে আমার গত পরশুদিনের পোস্ট "জনগণ কি ভাবতেছেন?" এর শেষে যে তিনটা সম্ভাবনার কথা বলছি তার প্রথমটার দ্বিতীয় অংশকে বুঝবার চেষ্টা করা । বাকি গুলা অর্থাৎ , সামরিক শাসন, আওয়ামী লীগ এবং বি.এন.পি সম্পর্কে মানুষ অলরেডি অনেক বেশী জাইনা ফালাইছে । রিক্সাওয়ালারে জিগান, দেখবেন ওর ব্যাখা আরও অনেক অনেক বেশী র্যাডিক্যাল । হে দেখবেন কথাই শুরু করবো গালি দিয়া । অবশ্য ভদ্রলোক অর্থাৎ সিভিল সোসাইটির লোক হিসাবে জিগাইলে সে কোন জবাবই দিবো না । হয় ডরাইবো নাইলে "গরীবের আবার ভুট " কইয়া নিজের রাস্তায় যাইবো গা । যাউকগা । ঘটনা হইলো আউমিলীগ, বি এম্পি বা মেলেটারিরে পাবলিকে চিনে । সুতরাং পাবলিক ঠাঙ্গানোর বা পাবলিকরে ভুদাই বানানোর নতুন একটা রাস্তা বাইর করার প্রয়োজন অনেকদিন থিকাই বড় মুরুব্বির দিমাগে সুড়সুড়ি দিতাছিল । ইদানিং মুরুব্বির কথার তালবাল ঠিক বুঝা যাইতাছে না । কারে যে উঠাইবো আর কার যে সিলাই ছিড়বো সবই অস্পষ্ট । এই পরিস্থিতিতে ফ্যালফ্যালে ভ্যালভ্যালে চেহারা নিয়ে পালিশ করা গুদবয় রা সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি হইয়া হোগার সকেটে মেলেটারি কাম বড় মুরুব্বির চার্জলইয়া গদীতে বইতে পারে । তখন দেখবেন কত লোকে লাফাইবো ! ভাল ভাল ! এই রকম সরকার চাই..লগে আবার এক নি:শ্বাসে গুলশানী ইংলিশ কইয়া ..কইবো ..দেখছেন রাস্তায় একডম জ্যাম নেই , কত সেইফ, লার্নেড গাভার্ণমেন্ট থাকলে যা হয় ....ইত্যাদি । তখন আইজকা যারা আমার এই পোস্ট পড়তাছেন মনে কইরেন যে হ কইছিল...সাধকে কইছিল....
সিভিল সোসাইটি কয় কারে ? ৩
আমি নিরপেক্ষ লোক না । আমার রাজনৈতিক মতামত খুব স্পষ্ট । আমার মতামত কোন দল ধারণ করে বা আদৌ কেউ করে কিনা সেইটা নিয়া তর্কাতর্কি হইতে পারে । আর কোন দলের সমর্থক যে হইতেই হবে এইটাও কিন্তু একধরনের ভাববাদী বা অ্যাবসল্যুটিস্ট চিন্তা । রাজনৈতিক ঘটনাবলীর বিশ্লেষক , যে কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমর্থনে কথা কইতাছে না , সে কিন্তু নিরপেক্ষ না । তারও একটা সাইড আছে এবং সেই সাইডরে সুনির্দিষ্ট সাইনবোর্ডে অনুবাদ করা নাও যাইতে পারে । মানে সেই সাইনবোর্ড খোলা চোখে নাও দেখা যাইতে পারে । কিন্তু তার অস্তিত্ব আছে । যেমন , বাংলাদেশরে যদি আমরা নির্ভরশীল দরিদ্র দেশের মডেল ধরি , সেইখানে কিছু লোক দেখা যাবে যারা ভাল খায়দায়, ভাল একটা বাসায় থাকে , কোন দলের সদস্য না এবং যতদুর সম্ভব মাইর খাওয়ার রাস্তা এড়াইয়া চলে , দ্যাশের ভবিষ্যত নিয়া খুবই চিন্তিত, পোলাপানরে "উচ্চ সাংস্কৃতিক সুশিক্ষা" দেয়, এবং ষব রকম তর্কাতর্কিতেই সবময় অন্য একটা লাইন বাইর করার তালে থাকে যাতে তার খোমাটা নজরে পড়ে । মাঝে মধ্যে "নাগরিক ইস্যু"তে হালকার উপর ঝাপসা দৌড়ানি খাইয়া বাসায় আইসা আত্মীয় স্বজনরে ফোন কইরা ১০ বছর ধইরা হেই গল্প করে ।
পেশাগত জীবনে কিন্তু তারা সকলেই "সৎ"। হয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, নয় রিটায়ার্ড আমলা কাম লেখক, এন.জি.ও পরামর্শদাতা ইত্যাদি । আমরা ছুডু লোকেরা রাস্তাঘাডে যা করি, যেমন লইয়া দৌড় দেওয়া, হেগুলা খারাপ খারাপ চুরি তারা করে না । বাংলাদেশের রাজনৈতিক ওঠানামায় তাগো কিছুই যায় আসে না , বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিকল্প ব্যাবস্থা তারা কইরা রাখছেন ।যারা রাখেন নাই তারাও অন্তত শেষ পর্য›ত চেষ্টা কইরা যান যেকোন ভাবে এই ময়লা-ছয়লা দেশ থিকা গা বাচাইয়া চলতে । এদের মধ্যে শ্রেণীভেদ আছে । কারণ নিম্নমধ্যবিত্তশ্রেণীর অংশটা "সিভিল সোসাইটি " জাতীয় সংগঠণে বা সমাবেশে আমন্ত্রিত হন না । সেইখানে আসেন এদের মধ্যে যাদের ট্যাকের অবস্থা ভালো তারাই ।
আমরা কি, কি হইতে পারতো বা কি হওয়া উচিতের মতো অ্যাবসার্ড বিষয়ের মাধ্যমে একটা বিষয়রে বুঝার চেষ্টা করুম ? না কি যা ঘটছে, ঘটতেছে এবং এক্সিসটিং তথ্যাবলী কি নির্দেশ করে সেইটা বিচার করুম ? আমার মতে ২য় টা সঠিক । তাতে আমরা সিভিল সোসাইটি বলতে কিছু উচ্চমধ্যবিত্তরে বুঝি যারা শোষকের নিরাপদ সহায়ক হিসাবে স্বচ্ছল জীবন যাপন করে । জনৈক দাড়িওয়ালা জার্মানের মতে "বুর্জোয়া ভদ্রলোক"। শোষিকের সহায়ক হিসাবে তারা শোষকদের নানারকম বুদ্ধি পরামর্ষ দেয় , কিভাবে ব্যাথা কম দিয়া ভুখা-নাঙ্গা মাইনসের গোয়া মারা যায় ।
পেশাগত জীবনে কিন্তু তারা সকলেই "সৎ"। হয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, নয় রিটায়ার্ড আমলা কাম লেখক, এন.জি.ও পরামর্শদাতা ইত্যাদি । আমরা ছুডু লোকেরা রাস্তাঘাডে যা করি, যেমন লইয়া দৌড় দেওয়া, হেগুলা খারাপ খারাপ চুরি তারা করে না । বাংলাদেশের রাজনৈতিক ওঠানামায় তাগো কিছুই যায় আসে না , বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিকল্প ব্যাবস্থা তারা কইরা রাখছেন ।যারা রাখেন নাই তারাও অন্তত শেষ পর্য›ত চেষ্টা কইরা যান যেকোন ভাবে এই ময়লা-ছয়লা দেশ থিকা গা বাচাইয়া চলতে । এদের মধ্যে শ্রেণীভেদ আছে । কারণ নিম্নমধ্যবিত্তশ্রেণীর অংশটা "সিভিল সোসাইটি " জাতীয় সংগঠণে বা সমাবেশে আমন্ত্রিত হন না । সেইখানে আসেন এদের মধ্যে যাদের ট্যাকের অবস্থা ভালো তারাই ।
আমরা কি, কি হইতে পারতো বা কি হওয়া উচিতের মতো অ্যাবসার্ড বিষয়ের মাধ্যমে একটা বিষয়রে বুঝার চেষ্টা করুম ? না কি যা ঘটছে, ঘটতেছে এবং এক্সিসটিং তথ্যাবলী কি নির্দেশ করে সেইটা বিচার করুম ? আমার মতে ২য় টা সঠিক । তাতে আমরা সিভিল সোসাইটি বলতে কিছু উচ্চমধ্যবিত্তরে বুঝি যারা শোষকের নিরাপদ সহায়ক হিসাবে স্বচ্ছল জীবন যাপন করে । জনৈক দাড়িওয়ালা জার্মানের মতে "বুর্জোয়া ভদ্রলোক"। শোষিকের সহায়ক হিসাবে তারা শোষকদের নানারকম বুদ্ধি পরামর্ষ দেয় , কিভাবে ব্যাথা কম দিয়া ভুখা-নাঙ্গা মাইনসের গোয়া মারা যায় ।
সিভিল সোসাইটি কয় কারে ?২
আচ্ছা একটা কথা । আমলাগো(সামরিক-বেসামরিক) দিয়া দ্যাশ চালানো তো হইছেই অলরেডি অনেকবার । তারপর পরে আবার পাট্টি আর আমলারা মিলা চালাইলো অনেক দিন । গত ৩০ বছরে ,, বিশেষ কইরা গত ১৬-১৭ বছরে এন.জি.ও দের দিয়া যে প্যারালাল আমলাতন্ত্র বানানো হইছে এইটার ভবিষ্যত প্রয়োগ কি ? এগো নিশ্চয়ই হুদা হুদাই এতগুলা টেকা দিয়া পুষে নাই । এরাও খেয়াল করবেন সব জাগায় একটু আ করার চানস পাইলেই কয় রাজনৈতিক দল ব্যর্থ ...তারপর রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের বাইরে উন্নয়ন বা দারিদ্র বিমোচনের "পক্ষের" লোকদের কে "এগিয়ে" আসতে হবে আর শুইনা "রুচিশীল" মানুষরা ব্যাকুল হইয়া প্রমিত হাততালি দেয় । প্রাক্তন এবং বর্তমান বিপ্লবীদের বিপুল সমাবেশ থাকে এইসব জাগায় । ভালো ভালো পরিশিলিত খাওন । খা হালার পুত ...খাইয়া মর....
সিভিল সোসাইটি কয় কারে ?
অনেক পুঁথিপত্তর ঘাটলাম । দুই রকম ধুমা পাইলাম । জনগন আর রাষ্ট্রের মাঝখানে স্যান্ডউইচের অদৃশ্য কাবাব আর "অগ্রসর" বুদ্ধিওলা "জাতির বিবেক"। আরও একটা মতামত আছে কিন্তু সেইটা সরাসরি উৎপাদন সম্পর্কের দ›দ্বমুক্ত কোন শ্রেণী বা গোষ্ঠী অস্বীকার করছে । তাগো মতে "জাতির বিবেক"রা হইলো বেশী বেতনের কর্মচারী । তো তিন নম্বরটা যেহেতু অস্তিত্বই অস্বীকার করতাছে তাই সেইটারে বাদ দেই আপাতত। কারণ এতোগুলা জ্ঞানীগুণী লোকে এত মোটা মোটা ইংলিশ বই পইড়া যা কইতাছে তারে ভুল কওয়ার আমি ক্যাঠা ? মনে করেন আমি একটা আলোচনা প্রস্তাব করতাছি । আমারে দরকার হইলে দশটা গাইল দিয়া লন । তবুও আসেন বিষয়টা লইয়া প্যাচাল পাড়ি । যারা জানেন তারা এবং যারা জানেনা তারাও আসেন ।
বিষয়টা হইলো "সিভিল সোসাইটি " শব্দটা পুরানা । সাধারণত বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার লোকেগো দিকে ইঙ্গিত করা হয় এই শব্দটা দিয়া । কিন্তু ঠিক কারা এবং কি ধরনের জ্ঞনীলোক সিভিল সোসাইটির আওতায় পড়ে সেইটার কোন পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায় না । তা ধরেন পুরা পরিস্কার ধারণা ওয়ালা জিনিস এমনেও খুব বেশী নাই , কিন্তু তার পরেও ধরেন শোষক আর শোষিত এই দুইটার চিত্র মোটামুটি পরিস্কার । বিভিন্ন মাত্রায় যাদের উদ্বৃত্তশ্রম শোষণ করা হয় তারা শোষিত আর যাদের পকেটে সেইটা বিভিন্ন পরিমানে যায় তারা বিভিন্ন স্তরের শোষক । এই হইলো মোটামুটি "সভ্য" সমাজের চেহারা । এখন এই কাঠামোর মধ্যে থিকা এই প্রক্রিয়ার বাইরে অবস্থানকারী কতিপয় জ্ঞানী লোক বাইর করা তো ভিষন মুস্কিলের কথা । আরো সমস্যা হইলো সিভিল সোসাইটির সমর্থক গো একটা দল আবার এগোরে "নিরপেক্ষ"বইলা দাবী করতাছে । নিরপেক্ষ বইলা আল্লাহ-ভগবান-গড-মওদুদী-বুশ-লাদেন-ইনুইচ্চা কারো দুনিয়াতেই কিছু আছে বইলা তো শুনি নাই । তাইলে কি যাহাই নিরপেক্ষ তাহাই সিভিল সোসাইটি ? তার মানে কি ভুত আছে ?
বিষয়টা হইলো "সিভিল সোসাইটি " শব্দটা পুরানা । সাধারণত বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার লোকেগো দিকে ইঙ্গিত করা হয় এই শব্দটা দিয়া । কিন্তু ঠিক কারা এবং কি ধরনের জ্ঞনীলোক সিভিল সোসাইটির আওতায় পড়ে সেইটার কোন পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায় না । তা ধরেন পুরা পরিস্কার ধারণা ওয়ালা জিনিস এমনেও খুব বেশী নাই , কিন্তু তার পরেও ধরেন শোষক আর শোষিত এই দুইটার চিত্র মোটামুটি পরিস্কার । বিভিন্ন মাত্রায় যাদের উদ্বৃত্তশ্রম শোষণ করা হয় তারা শোষিত আর যাদের পকেটে সেইটা বিভিন্ন পরিমানে যায় তারা বিভিন্ন স্তরের শোষক । এই হইলো মোটামুটি "সভ্য" সমাজের চেহারা । এখন এই কাঠামোর মধ্যে থিকা এই প্রক্রিয়ার বাইরে অবস্থানকারী কতিপয় জ্ঞানী লোক বাইর করা তো ভিষন মুস্কিলের কথা । আরো সমস্যা হইলো সিভিল সোসাইটির সমর্থক গো একটা দল আবার এগোরে "নিরপেক্ষ"বইলা দাবী করতাছে । নিরপেক্ষ বইলা আল্লাহ-ভগবান-গড-মওদুদী-বুশ-লাদেন-ইনুইচ্চা কারো দুনিয়াতেই কিছু আছে বইলা তো শুনি নাই । তাইলে কি যাহাই নিরপেক্ষ তাহাই সিভিল সোসাইটি ? তার মানে কি ভুত আছে ?
জলপাই মামাগো সাফল্যগাঁথা
যুগে যুগে জলপাই মামারা আসেন মিশন নিয়া ।তাদের মতো সুচারু ভাবে আইজ পর্যন্ত কেউ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে নাই । তাদের টার্গেট গুলা দেখা যাক :
১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ ধ্বংস
২. কারখানা বন্ধ কইরা লোহা-লক্করের দামে সেল
৩. দূর্নীতির সামাজিকিকরণ
৪. জনগনের প্রতিবাদ করার রাস্তা বন্ধ করা
এই পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৫ বছর সরাসরি জলপাই শাসন গেছে । এই ১৫ বছরে তারা তাদের মিশনে সম্পূর্ণ সফল । অর্থনৈতিক অবকাঠামো এমন ভাবে ল্যাংড়া করছে যে ক্রাচ নিয়াও আর উইঠা দাড়ানো সম্ভব মনে হয় না । শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ মারা গেছে ১৯৯০ এর মধ্যেই । টেকাওলা গো কাছে প্রাইভেট ভার্সিটিরে যুক্তিসঙ্গত কইরা তোলা সম্ভব হইছে । শিক্ষিত মানুষরে রাজনীতি বিমুখ করার ব্যাপারেও পুরা সফল আর তাতে প্রধান ভুমিকা পালন করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংশ । পিটাইয়া শ্রমিক আন্দোলনের মাজা ভাইঙ্গা দেওয়া হইছে । মানে পুরানা ধারার শ্রমিক আন্দোলনের । ট্রেড ইউনিয়ন শব্দটারে গালিতে পরিণত করছে । রক্ত চুইষ্যা খাওয়ারে লোকে আর পাপ মনে করে না । বহু লোকেই এখন মনে করে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলন একটা ছাগলামী ছিল , কিংবা "দুনিয়া এখন বদলাইয়া গেছেগা", জ্ঞান এবং মৌলিক গবেষণা থিকা সবচাইতে মেধাবী ছাত্রদের নিরুৎসাহিত করা , হিপহপ ধার্মিক জেনারেশন তৈরী করা , ভুলেও জানি কেউ দেশের ভিতরে বিনিয়োগ করার চিন্তা না করে তার বাস্তবতা তৈরী করা, উচ্চশিক্ষায় জানি কোনরকমে বেয়াদব গরীবরা না আসে তার জন্যে পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ব্যায় বাড়ানো এবং সমান্তরালে বেহেড মাতাল তৈরীর কারখানা হিসাবে মাদ্রাসার বিস্তার, চাকরির টোপ দিয়া বুদ্ধিজীবি কেনা এবং পরে তাদের দিয়া ভুয়া তত্ত¡ বানাইয়া সেগুলা পরবর্তী অর্ধশিক্ষিত জেনারেশনরে খাওয়ানো এবং খাওয়াইয়া চিবিল চোচাইটি বানানো আর কত সাফল্যের কথা কমু ?
১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ ধ্বংস
২. কারখানা বন্ধ কইরা লোহা-লক্করের দামে সেল
৩. দূর্নীতির সামাজিকিকরণ
৪. জনগনের প্রতিবাদ করার রাস্তা বন্ধ করা
এই পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৫ বছর সরাসরি জলপাই শাসন গেছে । এই ১৫ বছরে তারা তাদের মিশনে সম্পূর্ণ সফল । অর্থনৈতিক অবকাঠামো এমন ভাবে ল্যাংড়া করছে যে ক্রাচ নিয়াও আর উইঠা দাড়ানো সম্ভব মনে হয় না । শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ মারা গেছে ১৯৯০ এর মধ্যেই । টেকাওলা গো কাছে প্রাইভেট ভার্সিটিরে যুক্তিসঙ্গত কইরা তোলা সম্ভব হইছে । শিক্ষিত মানুষরে রাজনীতি বিমুখ করার ব্যাপারেও পুরা সফল আর তাতে প্রধান ভুমিকা পালন করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংশ । পিটাইয়া শ্রমিক আন্দোলনের মাজা ভাইঙ্গা দেওয়া হইছে । মানে পুরানা ধারার শ্রমিক আন্দোলনের । ট্রেড ইউনিয়ন শব্দটারে গালিতে পরিণত করছে । রক্ত চুইষ্যা খাওয়ারে লোকে আর পাপ মনে করে না । বহু লোকেই এখন মনে করে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলন একটা ছাগলামী ছিল , কিংবা "দুনিয়া এখন বদলাইয়া গেছেগা", জ্ঞান এবং মৌলিক গবেষণা থিকা সবচাইতে মেধাবী ছাত্রদের নিরুৎসাহিত করা , হিপহপ ধার্মিক জেনারেশন তৈরী করা , ভুলেও জানি কেউ দেশের ভিতরে বিনিয়োগ করার চিন্তা না করে তার বাস্তবতা তৈরী করা, উচ্চশিক্ষায় জানি কোনরকমে বেয়াদব গরীবরা না আসে তার জন্যে পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ব্যায় বাড়ানো এবং সমান্তরালে বেহেড মাতাল তৈরীর কারখানা হিসাবে মাদ্রাসার বিস্তার, চাকরির টোপ দিয়া বুদ্ধিজীবি কেনা এবং পরে তাদের দিয়া ভুয়া তত্ত¡ বানাইয়া সেগুলা পরবর্তী অর্ধশিক্ষিত জেনারেশনরে খাওয়ানো এবং খাওয়াইয়া চিবিল চোচাইটি বানানো আর কত সাফল্যের কথা কমু ?
জলপাই মামাদের কথা
"তোরা হইলি জন্ম গরীব । জানস টেকা দিয়া কি করে ? জানস টেকা কেমনে বানায়? জানস দুনিয়াটা কেমুন তাজ্জব একটা জাগা? এই দ্যাখ একটা ঘুঘু পাখি ।দে কইতাছি ! দিবি না ? খাইছি তরে । হ ঠিক আছে এইবার সব ঠিক । আমার পা টিপ । হ , নে টেকা নে । আমার টেকা দিয়া আমার মাল কিন । তোর মা-বউ-বোন পার্টটাইম আমার । যেই শালা গলা উচা করবো ছেইচা দিবি । ধর্ম কর্ম কর মন দিয়া । সবাইরে ক আল্লার নাম নিতে । সবাই জানি আল্লাহরে স্মরণ কইরা আবোল-তাবোল চিন্তা থিকা বিরত থাকে । টেকা লাগলে আমি দিমু; টেকা কোন ব্যাপার না । মানি ইজ নো প্রব্লেম । নিয়মিত হজ্জ্ব করবি । আর খেয়াল রাখবি কেউ জানি ভুলেও বেশী চিন্তা না করতে পারে । বা চিন্তা করলেও মুখ না খুলতে পারে । "এই আয়াত পাঠ কইরাই জলপাই ক্ষেত থিকা টিভি ক্যামেরার সামনে বসছিলেন জলপাই মামা গোত্রের প্রথম প্রতিনিধি । জনগনরে কইলেন :
" দ্যাশের অবস্থা দেইখা মাথায় মাল উইঠা গেছেগা , আর তাে বইয়া থাকা যায় না ,পুরানা গদীতে গুড়া কির্মি, নতুন গদি লাগবো , আমি বেশীদিন থাকুম না (হাতি), কিছুকালের মধ্যেই একটা ৯৯% ভোটের ইয়েস নো কইরা সাফারি গায়ে দিমু , আপনেরা আমার লগে না থাকলে আমার কি ?"
এরপর থিকা সব জলাপাই মামা এই একই ফরম্যাট ব্যাবহার করে । কিছু আপডেট হইছে আগে পরে কিন্তু সফট ওয়্যার আগেরটাই ।
" দ্যাশের অবস্থা দেইখা মাথায় মাল উইঠা গেছেগা , আর তাে বইয়া থাকা যায় না ,পুরানা গদীতে গুড়া কির্মি, নতুন গদি লাগবো , আমি বেশীদিন থাকুম না (হাতি), কিছুকালের মধ্যেই একটা ৯৯% ভোটের ইয়েস নো কইরা সাফারি গায়ে দিমু , আপনেরা আমার লগে না থাকলে আমার কি ?"
এরপর থিকা সব জলাপাই মামা এই একই ফরম্যাট ব্যাবহার করে । কিছু আপডেট হইছে আগে পরে কিন্তু সফট ওয়্যার আগেরটাই ।
সাধু কল্কি টানে দুইন্যা টাল
তাইলে দেখা যাইতাছে গাঞ্জাখোরের প্রেডিকশানই ঠিক।বান্দর কিছু দিন খেলা দেখাইলো।এখন সময় পিটি করার।গান গাওয়ার।''মাটি আর মানুষের সমন্বয় সাধনে...'' মানে মানুষরে পিডাইয়া মাডিতে সমান করা হইবো।এখন সব চলবো লাইন মতো । গাড়ীর পিছে গাড়ি - হাড়ির পিছে নারী ।
ব্যোম শঙ্কর !
ব্যোম শঙ্কর !
Subscribe to:
Posts (Atom)